ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান সংঘর্ষে ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের আক্রমণে ইসরাইলি বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইসরাইল ও হামাসের এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষেই ব্যাপক প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি ঘটছে, যেখানে গাজা উপত্যকা ও এর আশপাশের এলাকাগুলি ভয়াবহ সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবারের (১ নভেম্বর) বিবৃতিতে ইজ্জাদ্দিন আল-কাসসাম ব্রিগেড জানায়, গাজায় তাদের যোদ্ধারা উচ্চমানের সামরিক কৌশল ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইসরাইলি সেনাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এতে তারা আল-ইয়াসিন ১০৫ এবং টিবিজি শেলের মতো অস্ত্র ব্যবহার করছে, যা ইসরাইলি বাহিনীর সাঁজোয়া যান এবং বিভিন্ন স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে।
এদিকে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তাদের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে জানায় যে, গাজা ও দক্ষিণ লেবাননের সংঘর্ষে তাদের সেনাদের প্রাণহানি ক্রমশ বাড়ছে। অক্টোবর মাসে সংঘর্ষে ৬২ জন ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে বলে জানানো হয়, যা গত বছরের ডিসেম্বরের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা।
এছাড়া সংঘর্ষে গাজার সাধারণ জনগণও বিপুল ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা এবং জাতিসংঘ গাজায় বেসামরিক মানুষের উপর এ ধরনের হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং সংঘর্ষ থামানোর আহ্বান জানাচ্ছে। মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর পথ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে খাদ্য, পানি, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও আশ্রয়ের সংকটও চরমে পৌঁছেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত শতাধিক সাধারণ মানুষ এই সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন, এবং হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত চাপ এবং চিকিৎসা সামগ্রীর সংকটের কারণে আহতদের পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, চলমান এই সংঘর্ষে ইসরাইলি বিমানবাহিনী ও স্থল বাহিনী গাজায় লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে, যার মধ্যে আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোও ধ্বংস হয়েছে।