পৃথিবীতে এমন ৭টি মসজিদ রয়েছে যাতে মুসলিমরা নামাজ পড়েন, যেগুলো প্রকৃতপক্ষে অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন।
রাসুল মুহাম্মদ (সা.)-এর নির্মিত প্রথম মসজিদ কুবা মসজিদ, যা বর্তমান মদিনা আল-মুনাওয়ারায় অবস্থিত। তবে ইরিত্রিয়ার মাসাওয়া শহরে অবস্থিত সাহাবিদের মসজিদও প্রায় একই সময়ে নির্মিত হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
নিচে MVSLIM-এর নির্বাচিত সাতটি অনন্য মসজিদের বর্ণনা দেওয়া হলো:
সেন্ট পিটার্সবার্গ মসজিদ, রাশিয়া
এই মসজিদের প্রবেশদ্বার এবং দুটি মিনার নীল মোজাইক সিরামিক এবং মুগ্ধকর জ্যামিতিক নকশায় সজ্জিত।
নাসির আল মুলক মসজিদ, ইরান
‘ক্যালেইডোস্কোপিক মসজিদ’ নামে পরিচিত এই মসজিদটি বাইরে থেকে ঐতিহ্যবাহী মনে হতে পারে, কিন্তু এর অভ্যন্তর সূর্যের আলো পড়লে দৃষ্টিনন্দন রঙিন প্রভাব তৈরি করে।
গ্র্যান্ড মসজিদ, কুয়েত
এটি বাইরে থেকে বেশ সাধারণ বেলে রঙের মনে হলেও ভেতরে প্রবেশ করলে স্বর্ণ-গোলাপি নকশার বিশাল সিলিং অবাক করবে।
সুলতান আহমেদ মসজিদ, তুরস্ক
‘নীল মসজিদ’ নামে পরিচিত এই বিখ্যাত মসজিদটি ২০,০০০ হাত–নকশা করা নীল টাইলস দিয়ে সজ্জিত।
শেখ জায়েদ মসজিদ, আবুধাবি
বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম এই মসজিদটির আলোকসজ্জা ব্যবস্থাটি চাঁদের পর্যায়গুলোকে প্রতিফলিত করে। চাঁদের ধাপে ধাপে পরিবর্তনের সাথে মসজিদের রং সাদা থেকে গভীর নীলে রূপান্তরিত হয়।
জালিল খায়াত মসজিদ, ইরাক
২০০৭ সালে সম্পন্ন হওয়া এই মসজিদটির অভ্যন্তরীণ দেয়াল এবং সিলিংয়ে রঙিন ইসলামিক নকশা ‘জাখরাফা’ দিয়ে সজ্জিত।
জামি উল-আলফার মসজিদ, শ্রীলঙ্কা
ভারতীয় এবং ইসলামিক স্থাপত্যের মিশ্রণ সারাসেনিক স্টাইলের এই মসজিদটি ছয় তলা এবং এতে একসাথে ১০,০০০-এর বেশি মানুষ নামাজ পড়তে পারে।
এসব মসজিদ কেবল নামাজের স্থান নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ইসলামিক শিল্প ও সংস্কৃতির অসাধারণ উদাহরণ।
সূত্র: এ্যাবাউট ইসলাম