ইসলামী বার্তা ডেস্ক || ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে আয়ারল্যান্ডের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশে কেউ বাধা দিতে পারবে না। এই বক্তব্য তিনি এমন সময় দেন যখন ইসরায়েল ঘোষণা করেছে যে তারা আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে তাদের দূতাবাস বন্ধ কর দেবে।
সাইমন হ্যারিস বলেন, “আমরা গর্বিত যে আয়ারল্যান্ড ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।” তিনি ইসরায়েলকে “বিভ্রান্তির কৌশল” অবলম্বনের অভিযোগ অভিযুক্ত করেন এবং বলেন যে আয়ারল্যান্ড আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারকে সম্মান করে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে, আয়ারল্যান্ড সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। গত সপ্তাহে আয়ারল্যান্ড আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যার মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দিয়েছে।
সোমবার, ডান লিরেতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাইমন হ্যারিস বলেন, “ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজার নিরীহ শিশুদের সঙ্গে যা করছেন তা নিয়ে কেন কথা হচ্ছে না? এটি হলো বিভ্রান্তির কূটনীতি। তারা দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাখে, যদিও আমি চাইতাম যে এমনটি না ঘটুক। কিন্তু তা সত্ত্বেও, আমরা কূটনৈতিক যোগাযোগ চালিয়ে যাব। তবে, কেউ আয়ারল্যান্ডকে স্তব্ধ করতে পারবে না। আমরা সঠিক ও ভুলের মধ্যে পার্থক্য জানি। আমরা মানবাধিকারকে মূল্য দিই। আমরা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করি এবং এটি যেন সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়, তা আশা করি।”
প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস বলেন, “আমার মূল লক্ষ্য হলো মধ্যপ্রাচ্যে যা ঘটছে, তার ওপর আলোকপাত করা। এবং কিছুতেই সেখানকার পরিস্থিতি থেকে মনোযোগ সরিয়ে নেওয়া উচিত নয়। অবশ্যই, মানুষ ভিন্নমত পোষণ করতে পারে। কিন্তু আমাদের কখনোই এক সিদ্ধান্তকে, এমনকি ইসরায়েলের দূতাবাস বন্ধ করার সিদ্ধান্তকেও, আসল ঘটনার দিক থেকে আমাদের মনোযোগ সরাতে দেওয়া উচিত নয়। আমি আমাদের দেশের অবস্থানে অত্যন্ত গর্বিত। আমি গর্বিত যে আয়ারল্যান্ডের জনগণ মানবাধিকারের পক্ষে এবং আন্তর্জাতিক আইনের পক্ষে কথা বলছে।”
সাইমন হ্যারিস আরো বলেন, আয়ারল্যান্ড ইসরায়েলের কার্যক্রম নিয়ে তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবে না। তিনি আরও বলেন, “আমাদের অবস্থান ভুলভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ দেওয়া হবে না। আমি মনে করি, শিশু হত্যা নিন্দনীয়। গাজায় বেসামরিক মানুষের ব্যাপক মৃত্যুহার নিন্দনীয়। মানুষকে অনাহারে রেখে দেওয়া এবং মানবিক সহায়তা বন্ধ রাখা নিন্দনীয়।”
সূত্র: দি প্রেস (ইউ কে)