ইসলামী বার্তা ডেস্ক
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তুরস্কের সাথে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, তুরস্কের মিত্র হিসেবে আমরা সবসময় তাদের পাশে রয়েছি। তুরস্কের যা স্বার্থ, তা আমাদেরও স্বার্থ।”
আলিয়েভ উল্লেখ করেন, বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রে আজারবাইজান দ্রুত সাড়া দিয়েছে। পাশাপাশি, তিনি তুরস্কের সীমান্তে সন্ত্রাসবাদের নির্মূলের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
আলিয়েভ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বৈশ্বিক ব্যবস্থার কার্যকারিতা হারানোর কথা উল্লেখ করে নতুন প্রভাবশালী শক্তির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি তুর্কিক স্টেটস অর্গানাইজেশন এবং ডি-৮-কে সম্ভাব্য বৈশ্বিক শক্তি কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেন।
তিনি বলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গড়ে ওঠা ব্যবস্থা তার কার্যকারিতা হারিয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর রাজনৈতিক ও নৈতিক সংকট স্পষ্ট। নতুন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডাসহ এই ঘটনাপ্রবাহে অংশগ্রহণ করা জরুরি।”
আজারবাইজানের এই নেতা সিরিয়ার পরিস্থিতিতে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতি আশাবাদ প্রকাশ করেছেন, বিশেষ করে তুরস্ক ও নতুন সিরিয়ান সরকারের মধ্যে সম্পর্কের উন্নতিতে।আলিয়েভ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে চলমান সংঘাত দ্রুত সমাধানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এই সংঘাত যত তাড়াতাড়ি শেষ হবে, গাজায় যত তাড়াতাড়ি যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে, সবার জন্য ততই ভালো হবে।”
আলিয়েভ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতি আজারবাইজানের দীর্ঘদিনের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে বলেন, দেশটি বহু বছর ধরে রাজনৈতিক, নৈতিক ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, “আমরা দুই রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পক্ষে। একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এই সংঘাতের অবসান ঘটাবে। সবাইকে এটা বুঝতে হবে।” তিনি আরও বলেন, বাকুতে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের অব্যাহত কার্যক্রম আজারবাইজানের এই বিষয়ে প্রতিশ্রুতির প্রতীক।
সূত্র: এ্যাবাউট ইসলাম