ইসলামী বার্তা ডেস্ক

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট ও গুগলের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে গুগলের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গাজায় হামলার প্রথম কয়েক সপ্তাহ থেকেই গুগলের কর্মীরা ইসরায়েলি বাহিনীকে অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সুবিধা দিতে শুরু করেন। অপরদিকে, গার্ডিয়ানের ফাঁস হওয়া নথির বরাতে জানা যায়, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হামলার তীব্রতা বাড়ানোর সময় মাইক্রোসফটের ক্লাউড এবং এআই প্রযুক্তির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে।
তেল আবিবের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি বাহিনীকে দীর্ঘদিন ধরেই সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে এবার প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্রেরই দুই বড় টেক জায়ান্টের নাম উঠে এসেছে। গুগল যখন নিজেদের ইসরায়েলের সামরিক ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছিল, তখনই নতুন এই বিতর্ক সামনে আসে।
এর আগে, গুগলের কর্মীরা ইসরায়েলের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ক্লাউড কম্পিউটিং চুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। ২০২৪ সালে, প্রতিষ্ঠানটি ৫০ জন কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে, যাদের দাবি ছিল—”নিমবাস চুক্তির” মাধ্যমে সরবরাহ করা প্রযুক্তি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।
অন্যদিকে, গার্ডিয়ানের আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর থেকেই ইসরায়েল মাইক্রোসফটের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করে এবং প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য ১০ মিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। হামলা শুরুর পরপরই ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণের জন্য মাইক্রোসফট, গুগল এবং আমাজনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে থাকে। শুধু প্রশাসনিক সহায়তাই নয়, সম্মুখসমর ও গোয়েন্দা তৎপরতায়ও মাইক্রোসফটের প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
তবে এই অভিযোগের বিষয়ে এখনো পর্যন্ত গুগল, মাইক্রোসফট, আইডিএফ বা ইসরায়েলি বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।