ইসলামী বার্তা ডেস্ক
ইসরায়েলি বাহিনী দখলকৃত পশ্চিম তীরে বড় ধরনের সামরিক অভিযান জোরদার করেছে। এরই মধ্যে, গুলিতে নিহত হয়েছে ২ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি শিশু। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার (২৫ জানুয়ারি) দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরের ‘শহীদ ত্রিভুজ’ এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয় লায়লা আল-খাতিব নামের শিশুটি। পরে সে মারা যায়। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামলায় শিশুটির অন্তঃসত্ত্বা মা সামান্য আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্ত করছে এবং সেনারা একটি ভবনে গুলি চালায় কারণ তাদের কাছে সেখানে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের উপস্থিতির তথ্য ছিল।
জেনিনকে দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী একের পর এক সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। সর্বশেষ অভিযান শুরু হয় গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র একদিন পর।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলমান অভিযানে জেনিন ও এর শরণার্থী শিবিরে অন্তত ১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন বহু মানুষ এবং হাজার হাজার বাসিন্দা ঘরছাড়া হয়েছেন।
আরেকটি ঘটনায়, পশ্চিম তীরের বালাতা শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে আহত ৪২ বছর বয়সী আহমাদ মাহমুদ হাসাশেরও মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানে শুধু প্রাণহানি ঘটেনি, ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞও হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে বহু বাড়িঘর। ইসরায়েলের মানবাধিকার সংগঠন “ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স”, যেখানে সাবেক ইসরায়েলি সেনারাও রয়েছেন, জানিয়েছে— জেনিনকে “গাজার মতো” করে দেওয়া হচ্ছে, সেখানে বিমান হামলা ও অবকাঠামো ধ্বংসের মাধ্যমে পুরো এলাকা বিপর্যস্ত করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “এই অভিযান সন্ত্রাসবাদের শেকড় উপড়ে ফেলার জন্য পরিচালিত হচ্ছে।” তবে বাস্তবতা হলো, এই হামলা শুধু প্রাণহানি ঘটাচ্ছে না, ফিলিস্তিনিদের আরও বেশি দুর্ভোগের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
সূত্র: আল-জাজিরা