মুসলিম জাতির ঐক্য বিনষ্ট করার জন্য শিয়াদের বিষয়ে সুন্নীদের মাঝে যেসকল ধারনা প্রচার করা হয়


তারেক হাসান
Published: 2024-10-06 00:23:18 BdST | Updated: 2024-10-16 06:23:05 BdST

বর্তমান বিশ্বে মুসলিম জাতির ঐক্য খুবই প্রয়োজন। ইসলামে মুসলিমদের ঐক্যের গুরুত্ব অপরিসীম। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে মুসলিমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা, ও ঐক্যের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। তবে, মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টাও প্রাচীনকাল থেকেই চলছে। বিশেষ করে শিয়া ও সুন্নী আকীদার মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে মুসলিম জাতির ঐক্য বিনষ্ট করার প্রচেষ্টা বহুদিনের। শিয়া ও সুন্নী মুসলিমরা উভয়ে ইসলামের মূলনীতি ও বিশ্বাসের অনুসারী হলেও, তাদের মধ্যে কিছু মত পার্থক্য রয়েছে যা রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক কারণে  ক্রমে বিদ্বেষের রূপ দেওয়া হচ্ছে। এই মতভেদকে আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য কিছু নির্দিষ্ট প্রচারণা চালানো হয় সুন্নীদের মধ্যে, এসব প্রচারনা তৈরী করা হয়, মুসলিমদের শত্রুদের দ্বারা।

বিভেদ সৃষ্টি করার পেছনের উদ্দেশ্য

প্রচারণাগুলোর মূল লক্ষ্য হচ্ছে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বিনষ্ট করা। মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে রাজনৈতিক ও সামরিকভাবে দুর্বল করা। বহিরাগত শক্তি ও স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীগুলো মুসলিমদের মাঝে এ ধরনের ভুল ধারণা ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে তাদের ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়। ঐক্যবদ্ধ মুসলিম সমাজ যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তিশালী, কিন্তু ভাঙনের শিকার হলে তারা বিভাজনের ফাঁদে পড়ে যায়। শিয়া ও সুন্নী মুসলিমদের পারস্পরিক সম্মান ও সহনশীলতার অভাব এই ফাঁককে আরও চওড়া করে।

শিয়াদের বিরুদ্ধে কুরআন অবমাননার অভিযোগ

শিয়া মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রচলিত একটি ভুল ধারণা হল, তারা কুরআনকে অবমাননা করে বা এর পরিবর্তন করতে চায়। আসলে, শিয়া মুসলিমরা কুরআনকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে মান্য করে এবং তাদের মতে, কুরআন সর্বশেষ ও অবিকৃত আল্লাহর বাণী। কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে শিয়াদের বিরুদ্ধে কুরআন পরিবর্তনের মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাদেরকে ইসলামের মূলধারা থেকে বিচ্যুত হিসেবে উপস্থাপন করে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং শিয়াদের মূলধারা থেকে দূরে সরে থাকা কিছু বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির ভুল ব্যাখ্যার ফল।

কুরআনের বিকৃতিতে শিয়াদের বিশ্বাসের মিথ্যা অভিযোগ

শিয়াদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগগুলোর একটি হল, তারা কুরআনের বিকৃতিতে বিশ্বাস করে। এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা। সুন্নীদের মতো শিয়ারা বিশ্বাস করে যে বিদ্যমান কুরআন আল্লাহর অবিকৃত বাণী, এবং এতে কোনো পরিবর্তন আসেনি। শিয়াদের কাছে থাকা কুরআনও হুবহু একই, যেমনটি মক্কা, মদিনা, ইরান বা অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোতে পাওয়া যায়। ইরানের মসজিদগুলোতে এবং সাধারণ মানুষের কাছে যে কুরআন রয়েছে, তা সৌদি আরব, মিশর, ইন্দোনেশিয়া এবং অন্যান্য সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর কুরআনের সঙ্গে পুরোপুরি এক। শিয়ারা বিশ্বাস করে, কুরআন সর্বশেষ ও চূড়ান্ত আসমানি কিতাব, এবং এটি কোনোরকম পরিবর্তন ছাড়াই আজও সংরক্ষিত।

সাহাবাদের প্রতি শিয়াদের অসম্মানের অভিযোগ

শিয়াদের বিরুদ্ধে আরেকটি সাধারণ অভিযোগ হল, তারা ইসলামের প্রথম খলিফা ও প্রধান সাহাবাদের প্রতি অসম্মান দেখায়। প্রকৃতপক্ষে, শিয়া মুসলিমদের কাছে সাহাবাদের প্রতি সম্মানের বিষয়টি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করা হয়। তারা হযরত আলী (রা.) ও তার বংশধরদের বিশেষ মর্যাদা দেয় এবং তাদের মতে, খলিফার পদের জন্য আলীর (রা.) অধিকারের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টি নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও, শিয়া মুসলিমদের বিশাল একটি অংশ সাহাবাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এ ধরনের বিভেদকে ব্যবহার করে মুসলিমদের ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করা হয়।

ইমামদের সম্পর্কে বাড়াবাড়ির অভিযোগ

আরেকটি প্রচলিত ভুল ধারণা হল, শিয়ারা হযরত আলী (রা.) এবং আহলে বাইতের অন্যান্য ইমামদের সম্পর্কে অতিরঞ্জন করে এবং তাদেরকে খোদা তুল্য বলে মনে করে। তবে বাস্তবে, শিয়ারা ইমামদেরকে আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে সম্মান করে এবং তারা ইসলাম প্রচারের ধারক-বাহক হিসেবে তাদের ভূমিকা স্বীকার করে। শিয়া মুসলমানরা ইমামদেরকে আল্লাহর নৈকট্যে থাকা পুণ্যবান এবং জ্ঞানী ব্যক্তি হিসেবে মান্য করে, যারা ইসলামের সঠিক পথ প্রদর্শন করেন। ইমামগণকে তারা রাসূল (সা.)-এর উত্তরসূরী হিসেবে দেখে, যাদের মূল কাজ হলো ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা প্রদান করা। শিয়ারা কখনও ইমামদেরকে আল্লাহর মতো ইবাদত করে না।

তাযিয়াহ আশুরা পালনের বিরোধিতা

শিয়া মুসলিমরা কারবালার শহীদদের স্মরণে আশুরা পালন করে থাকে, যা মূলত হজরত ইমাম হুসাইন (রা.) ও তার অনুসারীদের আত্মত্যাগের স্মৃতি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোক প্রকাশ এবং তাযিয়াহ পালনের প্রথা শিয়া মুসলিমদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার। অনেক সুন্নীদের মধ্যে এটি একটি "বিদআত" বা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের বিরোধী হিসেবে প্রচার করা হয়। তবে, শিয়া মুসলিমরা এটিকে শুধু শোকের চিহ্ন নয়, বরং সত্য ও ন্যায়ের জন্য লড়াইয়ের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে। এ বিষয়ে অতিরঞ্জিত ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করে মুসলিম সমাজের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করা হয়।

ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগ

শিয়াদের বিরুদ্ধে আরেকটি গুরুতর অভিযোগ হলো, তারা ইসলামের মূল নীতিগুলোতে ধর্মদ্রোহিতা করে। তবে শিয়ারা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস যেমন তাওহিদ (একেশ্বরবাদ), নবুওয়াত (নবী হওয়ার প্রথা), এবং আখিরাত বা পুনরুত্থানে বিশ্বাস করে। শিয়া এবং সুন্নীদের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে তা মূলত আইনশাস্ত্র এবং কিছু ইজতিহাদ (ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ)-এর ক্ষেত্রে। শিয়ারা ইসলামের মূল নীতিগুলো থেকে কোনো বিচ্যুতি ঘটায় না, বরং তাদের পণ্ডিতরা ইসলামী বিধানগুলোকে তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও ব্যাখ্যা অনুযায়ী অনুসরণ করে।

আল্লাহ ব্যতীত অন্যের কাছে চাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ

শিয়াদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আরেকটি ভুল অভিযোগ হল, তারা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে আহ্বান করে বা প্রার্থনা করে। শিয়াদের দৃষ্টিতে, রাসূল (সা.) এবং ইমামদের প্রতি ভালোবাসা ও তাদের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সুপারিশ চাওয়া একটি বৈধ উপায়। তাওয়াসুল (মধ্যস্থতার জন্য প্রার্থনা) শিয়া বিশ্বাসে একটি গ্রহণযোগ্য প্রথা, যেখানে নবী, ইমাম, এবং অন্য পুণ্যবান ব্যক্তিদের সুপারিশের মাধ্যমে আল্লাহর কাছ থেকে মাফ চাওয়া হয়। এটি কুরআনে বর্ণিত নির্দেশনার আলোকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেমন সূরা মায়িদা, আয়াত ৩৫-এ বলা হয়েছে, “হে ঈমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর নৈকট্য লাভের উপায় অনুসন্ধান কর।”

রাসূল (সা.) এর সাহাবীদের প্রতি শত্রুতার অভিযোগ

শিয়াদের বিরুদ্ধে আরেকটি প্রচলিত অভিযোগ হল, তারা রাসূল (সা.)-এর সাহাবীদের  বিরুদ্ধে শত্রুতা পোষণ করে। যদিও শিয়ারা নবী (সা.)-এর কিছু সাহাবীর আচরণের সমালোচনা করে, তবে তারা সকল সাহাবীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে না বলে যে দাবি করা হয়, তা সত্য নয়। শিয়া মতবাদের মধ্যে সাহাবীদের মধ্যে পার্থক্য করা হয়—একদল ছিলেন যারা রাসূলের অনুসারী হিসেবে সম্পূর্ণ অনুগত ছিলেন, এবং অন্যদল যারা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। শিয়া আলেমরা বারবার এই বিষয়ে স্পষ্ট করেছেন যে, সাহাবীদের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন ইসলাম-বিরোধী এবং তাদের অপমান করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

রাসূল (সা.)-এর স্ত্রীদের প্রতি অসম্মানের অভিযোগ

শিয়াদের বিরুদ্ধে আরেকটি ভুল প্রচারণা হল, তারা নবী (সা.)-এর স্ত্রীদের অসম্মান করে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। শিয়ারা রাসূল (সা.) এর স্ত্রীদের সম্মান করে এবং তাদের "উম্মুল মুমিনীন" (মুমিনদের মা) হিসেবে বিশ্বাস করে। কিছু ঐতিহাসিক ঘটনায় মতপার্থক্য থাকতে পারে, তবে শিয়ারা রাসূল (সা.)-এর স্ত্রীদের সম্মানজনক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না। শিয়া বিশ্বাসে রাসূল (সা.) এর পরিবারের নারীদের চরিত্র ও মর্যাদাকে অসম্মান করার কোনো সুযোগ নেই, বরং তারা তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা পোষণ করে।

শিয়াদের ইমামত প্রথার ভুল ব্যাখ্যা

শিয়া মুসলিমরা ইমামত প্রথায় বিশ্বাস করে, যেখানে তারা ইমামদেরকে দ্বীনের নেতা হিসেবে মান্য করে। সুন্নী মুসলিমরা সাধারণত এই প্রথাকে ধর্মীয় নেতৃত্বের একটি আলাদা পদ্ধতি হিসেবে দেখেন। তবে কিছু চক্র শিয়া মুসলিমদের এই বিশ্বাসকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে এবং তাদের ইমামদেরকে পীর বা অন্ধভাবে অনুসরণকারীদের সাথে তুলনা করে। এটি একটি উদ্দেশ্যমূলক প্রচারণা যা শিয়া-সুন্নী বিভেদকে আরও গভীর করে তোলে।

তাকিয়া বা আত্মরক্ষার জন্য মিথ্যা বলারর প্রচলিত ধারণা

শিয়াদের মধ্যে 'তাকিয়া' নামক একটি ধারণা আছে, যার অর্থ হলো নিজেদের জীবন বা নিরাপত্তার জন্য মিথ্যা বলা জায়েজ। এই ধারণা অনেক ক্ষেত্রে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয় এবং বলা হয় যে শিয়ারা সবসময়ই মিথ্যার আশ্রয় নেয়। অথচ তাকিয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো বিপদ বা নিপীড়নের মুখে নিজের জীবন রক্ষার জন্য সত্য গোপন করা, যা বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য। এটি ইসলামের কোনো সাধারণ নীতি নয়, বরং নির্দিষ্ট প্রেক্ষাপটে প্রয়োগযোগ্য। এ বিষয়ে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে শিয়াদের বিরুদ্ধে কৌশলগতভাবে ঘৃণা উসকে দেওয়া হয়।

উপসংহার

শিয়া ও সুন্নী মুসলিমদের মধ্যে ঐতিহাসিক ও মতবৈষম্য থাকলেও, ইসলাম উম্মাহর ভিত্তি এক ও অটুট। বিভাজনের প্রচারণা থেকে দূরে থেকে মুসলিমদের উচিত পারস্পরিক শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, এবং সহনশীলতার মাধ্যমে ঐক্য স্থাপন করা। ঐক্যের গুরুত্বকে মাথায় রেখে এইসব ভিত্তিহীন প্রচারণা এবং ভুল ধারণার ফাঁদে পা না দিয়ে, নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে মুসলিমদের জন্য শ্রেয়। শিয়া ও সুন্নী মুসলমানদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি এবং মিথ্যা প্রচারণার কারণে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করা হয়। প্রকৃতপক্ষে, শিয়ারা ইসলামের মূল শিক্ষা ও বিশ্বাসের প্রতি দৃঢ়ভাবে অটল রয়েছে, এবং তাদের সম্পর্কে প্রচলিত অনেক মিথ্যা অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই বিভ্রান্তিগুলো দূর করা গেলে, মুসলিম উম্মাহ আরও শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে।


লেখক: তারেক হাসান

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


ইসলামী বিষয়াবলী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত


অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে সজীব, তাদের কর্মের কারণে সন্তুষ্ট, তারা থাকবে...

ইসলামী বিষয়াবলী | 2018-04-23 23:36:39

রাসূল স. বলেছেনঃ বেশি বেশি কোর’আন তেলা’ওয়াত কর, কেননা হাশরের দিন এ কো...

ইসলামী বিষয়াবলী | 2018-08-15 23:24:11

হযরত মুয়াজ (রা.) রাসূল (সা.) এর কাছ থেকে কিয়ামতের দিন প্রথম তিনজন জাহা...

ইসলামী বিষয়াবলী | 2018-02-22 00:11:13

মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে আপনার উচিত সর্বদা জ্ঞান অর্জনে লিপ্ত থাকা।...

ইসলামী বিষয়াবলী | 2018-06-29 08:34:21

"হে আল্লাহ্, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুশ্চিন্তা, দুঃখ, অক্ষমতা, অলসত...

ইসলামী বিষয়াবলী | 2018-05-06 13:46:07

হজ্জ্ব ইসলামের একটি মৌলিক ইবাদত। হিজরী ক্যালেন্ডার অনুসারে প্রতিবছর জি...

ইসলামী বিষয়াবলী | 2018-08-16 23:47:11

হযরত আবু যর (রা.) থেকে বর্ণিত, সহীহ বুখারী ও মুসলিম উভয় হাদীসগ্রন্থেই...

ইসলামী বিষয়াবলী | 2018-06-22 23:12:36

মুসলিম হওয়া যে জন্মগত কোনো ব্যাপার না, এই কথাটা চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ...

ইসলামী বিষয়াবলী | 2019-02-19 23:09:08