প্রফেসর এমিরেটাস মুহাম্মদ কামাল হাসান: একজন স্নিগ্ধ ও প্রজ্ঞাবান মানুষের বিদায়


ড. ফারুক আমিন
Published: 2023-02-24 20:18:21 BdST | Updated: 2024-04-29 04:33:57 BdST

২০০৮ সালের শেষ দিকে কোন এক দুপুরবেলা। ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়া, আইআইইউএম, এর সেন্ট্রাল মসজিদে জোহর নামাজের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। তখন আমি মাস্টার্সের ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করতে ওখানে নতুন ভর্তি হয়েছিলাম। পাশের খালি জায়গাটিতে এসে একজন ছোটখাটো মানুষ বসলেন। দেখতে খুব সৌম্য এবং শান্ত। চুপচাপ নামাজ পড়লেন। বিশেষ কিছু মনে হয়নি। নামাজ শেষে বিকেলে একটা ক্লাস ছিলো। সে সময় ঘানার ক্লাসমেট ইউসুফ বললো, তোমার পাশে যিনি জোহর নামাজ পড়েছেন উনি প্রফেসর কামাল হাসান। 

কিছুটা চমকিত হলাম। ক্লাসে শিক্ষকদের কাছ থেকে যার পান্ডিত্যের কথা ইতোমধ্যে শুনেছি, লাইব্রেরিতে যার বই নেড়ে চেড়ে দেখেছি সেই বিখ্যাত অধ্যাপক এতো সাধারণভাবে চলাফেরা করেন! 

চেনার পর থেকে প্রায়ই দেখতাম আজানের প্রায় পরপরই সেন্ট্রাল মসজিদের পাশের রেক্টরি বিল্ডিং থেকে বের হয়ে হেঁটে মসজিদে আসছেন। অনেক সময় আজানের আগেই আসতেন। মোটামুটিভাবে ইমামের পেছনেই তিনি জায়গা পেতেন। নামাজের পর বেশিরভাগ সময় যেখানে নামাজ পড়েছেন, সেখানে বসে বসেই কোরআন শরীফ পড়তেন। চালচলনে কোন বাহুল্য ও বিন্দুমাত্র গরিমা ছিলো না। মাঝে মাঝে দেখতাম কোন ছাত্র অথবা শিক্ষককে তাঁর সাথে কথা বলতে। পাশ থেকে দেখলে বুঝা যেতো মনযোগ দিয়ে শুনছেন। কথা বলছেন। আমি ভাবতাম, এমন কেউ আমাদের দেশে হলে তো কাছেই যাওয়া যেতো না। 

আমি ছিলাম উসুলুদ্দীন এন্ড কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন বিভাগের মাস্টার্স পর্যায়ের নগণ্য একজন ছাত্র। তথাপি এমন একজন শিক্ষকের কাছ থেকে শিখতে ইচ্ছা করে। কিন্তু কোন সাবজেক্টের শিক্ষক হিসেবে উনার নাম পাইনা। একদিন সিনিয়র বন্ধু তাজুল ভাইয়ের কাছ থেকে জানলাম তিনি শুধু পিএইচডি ছাত্রদের একটা ক্লাস নেন, সপ্তাহে একদিন। বিষয়টার নাম সম্ভবত ছিলো কুরআনিক প্যারাডাইম অফ ইসলামিক ফিলসফি। 

এক সেমিস্টারের শুরুতে প্রথম ক্লাসের আগে তাজুল ভাইয়ের সাথে তার অফিসে গিয়ে উপস্থিত হলাম। বললাম, আমি উনার এই ক্লাসে পড়তে চাই। প্রফেসর বললেন, নিয়মিত উপস্থিত হলে এবং অন্য সব ছাত্রছাত্রীদের মতো সব এসাইনমেন্ট করলে তিনি অনুমতি দেন। আগ্রহের সাথে রাজি হলাম। 

রেক্টরি বিল্ডিং (মূল প্রশাসনিক ভবন, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর, আমাদের দেশে যে পদবীকে ভাইস চ্যান্সেলর বা উপাচার্য বলা হয়) এর তিনতলায় ছিলো উনার অফিস। প্রাক্তণ রেক্টর হিসেবে পাওয়া বিশাল এই অফিস রুমে ছিলো হাজার হাজার বই এবং বিশাল একটি সেক্রেটারিয়েট টেবিল। এই টেবিলের চারপাশ ঘিরে পনেরো-ষোলজন ছাত্রছাত্রীরা বসতো, এবং টেবিলের মাথায় বসতেন তিনি। প্রায়শ উনার কাছে বসার লোভে ক্লাসের সময়ের আগেই উপস্থিত হতাম। 

প্রফেসর কামাল হাসানের বাহ্যিকতার মাঝে কয়েকটা বিষয় যে কোন ছাত্রকে মুগ্ধ করার মতো ছিলো। তাঁর ইংলিশ উচ্চারণ ও কথাগুলো ছিলো একই সাথে সহজবোধ্য, ঝরঝরে এবং একসেন্ট বিহীন। দীর্ঘদিন আমেরিকায় পড়ালেখা করার কারণেই সম্ভবত। তাঁর চমৎকার ইংলিশ লেকচার আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতাম। 

তাঁর লেকচারের আরেকটা বিষয় ছিলো পান্ডিত্য। তিন ঘন্টা ক্লাস শেষে নোটখাতা দেখলে দেখা যেতো তাফসীর, হাদীস, ইতিহাস, আক্বীদা, সাহিত্য, দর্শন এতোসব বিষয়ে তিনি কথা বলেছেন এবং বইয়ের নাম বলেছেন যা বিস্তারিত পড়তে গেলে বহুদিন লেগে যাবে। কিন্তু একইসাথে যে জিনিসটা আমাকে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ করতো তা হলো নানা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার পরও তিনি ঠিকই সবকিছুর যোগসূত্র লাগিয়ে দিয়েছেন সেদিনের বিষয়বস্তুর সাথে। সেমিস্টারের শুরুতে দেয়া লার্নিং গাইডের অন্তর্ভূক্ত বিষয়গুলো তিনি ঠিকই পরিপূর্ণভাবে শিক্ষা দিয়েছেন শেষপর্যন্ত। তার এই দক্ষতাকে আমার জাদুকরী একটা বিষয় মনে হতো সে সময়। 

সর্বোপরি মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন অসাধারণ। একজন সাধারণ মানের ছাত্র হওয়ার পরও জীবনে বেশ কয়েকজন মহৎ ও পন্ডিত শিক্ষকের কাছে পড়ার এবং কাছে যাওয়ার সুযোগ আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। অল্প হলেও এমন কিছু শিক্ষক পেয়েছি, যারা ছাত্রদের চিন্তা ও কাজকে ভাস্কর্যের মতো যত্ন নিয়ে গড়ার চেষ্টা করেন। প্রতিটি ছাত্রের জীবনেই সম্ভবত এমন এক বা একাধিক শিক্ষক থাকেন। এরা জীবনে পিতার মতো ভূমিকা রাখেন। মরহুম কামাল হাসানের মতো ছাত্রদের মাঝে সমতা বজায় রাখার প্রতি মনযোগ খুব বেশি শিক্ষকের মাঝে দেখিনি। একজন শিক্ষকের জন্য এটি অনেক বড় একটি গুণ।

ভালো ছাত্র হোক বা খারাপ ছাত্র, তাকে দেখেছি সবাইকে সমান গুরুত্ব দিতে এবং মনযোগ দিতে। যে ছাত্র খারাপ মানের এসাইনমেন্ট করেছেন, তার কাজও তিনি সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখতেন, নোট দিতেন এবং ব্যাখ্যা করতেন। ধৈর্য্য ও মমত্ব দেখে মাঝে মাঝেই অবাক হতাম। 

প্রথম ক্লাসেই তিনি প্রত্যেকের হাতে কয়েক পৃষ্ঠা ফটোকপি দিলেন। এটি ছিলো মুহাম্মদ ইকবালের লেখা দি রিকনস্ট্রাকশন অফ রিলিজিয়াস থট ইন ইসলাম বই এর একটি অনুচ্ছেদ। ব্যাখ্যা করলেন তাঁর নিজস্ব ভঙ্গিতে। কাজ দিলেন পরবর্তী ক্লাসে এই সেকশনটি সারমর্ম লিখে আনার জন্য। আল্লামা ইকবাল ছিলেন প্রফেসর কামাল হাসানের প্রিয় এক পন্ডিত। তাঁর আরেকটি প্রিয় রেফারেন্স ছিলেন শায়খ ইউসুফ আল কারাদাভী। 

ঐ সেমিস্টারে আমাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছিলো, কিন্তু কেবলমাত্র এইরকম একজন পন্ডিতের কাছ থেকে কিছু শেখার জন্য লেগে ছিলাম। তিনি এমন একজন শিক্ষক ছিলেন যার পায়ের কাছে বসে পড়ালেখা করার জন্য পৃথিবীর অন্য সব কিছু বাদ দেয়া যায়। 

আমার এই শিক্ষক, একই সাথে দুনিয়াব্যাপী অসংখ্য মানুষের শিক্ষক ও প্রেরণার উৎস, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার প্রাক্তণ রেক্টর প্রফেসর মুহাম্মদ কামাল হাসান গত ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ তারিখে ৮০ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। বিগত শতকের শেষভাগে সারা পৃথিবী জুড়ে ইসলামী শিক্ষা ও চিন্তার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা একজন বিরল প্রকৃতির জ্ঞানী মানুষ ছিলেন তিনি। 

আইআইইউএম এর প্রকৃতিকে বুঝতে হলে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়টিকে বুঝতে হবে। আশির দশকের শুরুর দিকে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন ওআইসির উদ্যোগে একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার চিন্তা করা হয়। এর কাছাকাছি সময়ে ওআইসির উদ্যোগেই বাংলাদেশের গাজীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনলজি নামে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওআইসির এ উদ্যোগকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে সফল হয়েছিলেন তখনকার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। 

একই ধারার উদ্যোগে ইসলামী শিক্ষাকে কেন্দ্র করে যখন বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা করা হয়, সে উদ্যোগকে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মদ। মাহাথিরের এ উৎসাহের পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন তাঁর তখনকার সহকারী, পরবর্তীতে মালয়েশিয়ার শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। 

সত্তর ও আশির দশকে যখন পুরো পৃথিবী কোল্ডওয়ারের দুইভাগে বিভক্ত, তখন প্রতাপশালী আদর্শ বলতে মানুষ পুঁজিবাদ ও সমাজতন্ত্রকেই বুঝতো। ইসলামী রাজনীতির ধারা তখন বিকাশমান, এবং মুসলিম দেশগুলোতে জাতীয়তাবাদের উত্থান তখন প্রবল। এ সময়টি ছিলো বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের জন্য আত্মপরিচয় অনুসন্ধানের সূচনার পর্ব, যে ধারা এখনো চলমান এবং অমীমাংসিত। 

এমন এক সময়কালে সভ্যতা হিসেবে ইসলামের পুনরুত্থানের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ইসলামাইজেশন অফ নলেজ বা জ্ঞানের ইসলামিকীকরণের চিন্তার সূচনা হয়। এ চিন্তাকে কেন্দ্র করেই ১৯৮৩ সালে আইআইইউএম প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রথম রেক্টর ছিলেন মিশরী একজন পন্ডিত, মুহাম্মদ আবদুল রউফ। ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় রেক্টর হিসেবে দায়িত্ব নেন সৌদি প্রফেসর এমিরেটাস আবদুল হামিদ আবু সুলাইমান। 

এ সময় মালয়েশিয়া দুহাত খুলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ইসলামী শিক্ষায় বিশেষজ্ঞদেরকে আপন করে নেয়। এমনকি ইজিপশিয়ান মুহাম্মদকে তান শ্রী এবং সৌদি আবদুল হামিদকে তারা দাতো উপাধি দেয়। মালয়েশিয়ার সমাজ ও রাজনীতিতে তাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক এসব উপাধির গুরুত্ব অনেক বেশি। বাংলাদেশ থেকেও এসময় অনেক পন্ডিত শিক্ষককে আইআইইউএম এ গ্রহণ করে নেয়া হয়। তাদের মাঝে ইসলামী শিক্ষার অধ্যাপক আবু বকর রফীক, অর্থনীতির অধ্যাপক আতাউল হক প্রামাণিক, ইতিহাসের অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আহসান সহ অনেকেই শিক্ষকতা ও গবেষণার জগতে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। 

প্রফেসর কামাল হাসান ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টি তৃতীয় রেক্টর। ১৯৯৮ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি রেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন। ইউনিভার্সিটি অফ মালায়া থেকে ইসলামিক স্টাডিজে ব্যাচেলর ডিগ্রি নেয়ার পর তিনি আমেরিকার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামিক স্টাডিজ বিষয়ে পোস্টগ্রাজুয়েট এবং পিএইচডি অধ্যয়ন করেন। ১৯৭৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ইউকেএম ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়া) তিনি উসুলুদ্দীন এবং দর্শনের শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। 

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া, আইআইইউএম (মালয় ভাষায় বলা হয় ইউআইএ ইউনিভার্সিটি ইসলাম আন্তারাবাংসা), প্রতিষ্ঠার সময় একজন কৃতি শিক্ষাবিদ হিসেবে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবনাপত্র রচনা করেন এবং প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। দীর্ঘ ৪২ বছর এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করে তিনি ২০১৮ সালে প্রফেসর এমিরেটাস হিসেবে অবসরে গিয়েছিলেন। 

তান শ্রী প্রফেসর কামাল হাসান ছিলেন একজন ইসলামী দার্শনিক। উসুলুদ্দীন বা ইসলামের মৌলিক শাস্ত্রে গভীর ব্যুৎপত্তির পাশাপাশি তিনি আজীবন শিক্ষা ও ইসলাম নিয়ে কাজ করেছেন। কুরআনের দৃষ্টিতে বিজ্ঞান, ইসলামের মধ্যপন্থা, নৈতিকতা, সামাজিক প্রসঙ্গ, মালয় জাতিগত প্রসঙ্গ ইত্যাদি বিষয় সহ নানা ইসলামী বিষয়ে তিনি প্রচুর বই লিখেছেন, একইসাথে লিখেছেন অসংখ্য গবেষণা নিবন্ধ। মালয় জাতিগোষ্ঠীর বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ইসলামী পর্যালোচনায় তাঁর আগ্রহ ছিলো। এনসাইক্লোপিডিয়া মালয়েশিয়া: রিলিজিয়নস এন্ড বিলিফস নামের বিশ্বকোষ রচনার সাথেও জড়িত ছিলেন তিনি। 

গত বছর তাঁর লেখা একটি বই প্রকাশিত হয়, যার নাম করাপশন এন্ড হিপোক্রেসি ইন মালয় মুসলিম পলিটিক্স: দ্য আরজেন্সি অফ মোরাল-এথিকাল ট্রান্সফর্মেশন। বইটি মালয়েশিয়াতে এবং মালয়েশিয়ার বাইরেও আলোড়ন তুলেছিলো। পুরোটা জীবন তিনি তাঁর নিজ জাতির মানুষকে প্রচন্ড ভালোবেসেছেন, তাই একজন নিবেদিত শিক্ষাবিদ হিসেবে রাজনৈতিক প্রসঙ্গে সবসময় নিরব থাকলেও শেষ জীবনে এসে এ প্রসঙ্গে তার চিন্তাগুলো অবারিতভাবে বলে গিয়েছেন। 

মুহাম্মদ কামাল হাসান ছিলেন শিক্ষাচর্চায় নিবেদিত সেই বিরল মানুষদের একজন, যাদের জীবন ও অবদান দেখলে বুঝা যেতো রাসুল সা. এর হাদীসে পন্ডিতদেরকে নবীদের উত্তরাধিকার হিসেবে উল্লেখের তাৎপর্য্য। বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আইআইইউএম এ আসা তাঁর গুণমুগ্ধ ও স্নেহধন্য অসংখ্য ছাত্র, শিক্ষক ও শুভানুধ্যায়ীরা আজ পৃথিবীর নানা দেশে ছড়িয়ে আছে। আল্লাহ তায়ালা তাকে মাফ করে জান্নাতের উচ্চ মর্যাদায় আসীন করুন এবং তাঁর মতো যোগ্য আরো অনেক মানুষকে এই উম্মাহর উন্নয়নে অবদান রাখার সামর্থ্য দিন।

সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


মুসলিম ব্যক্তিত্ব বিভাগের সর্বাধিক পঠিত


(জন্মঃ ৮১০-মৃত্যুঃ ৮৭০ খ্রিস্টাব্দ), আরব রীতি অনুযায়ী বংশধারাসহ পুরো...

মুসলিম ব্যক্তিত্ব | 2017-12-22 11:55:49

ইসলাম আগমনের পূর্ব থেকেই ভারতের সাথে আরবদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিলো। বা...

মুসলিম ব্যক্তিত্ব | 2018-04-08 09:16:03

ইবনে রুশদ ছিলেন আধুনিক সার্জারির জনক। সেই সাথে ছিলেন একজন বড় মাপের আধ...

মুসলিম ব্যক্তিত্ব | 2017-12-01 00:44:18

সাহাবী  হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) বলতেন- আর আমি (রাতে) ঘুমাই এবং নাম...

মুসলিম ব্যক্তিত্ব | 2020-02-06 18:38:47

ভাবুন তো... আপনার খুব কাছের কোনো বন্ধু আপনার বাসার ঠিক পাশ দিয়ে চলে গে...

মুসলিম ব্যক্তিত্ব | 2019-02-15 23:46:59

সংখ্যার জগতে ‘শূণ্য’ একটি গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন। গণিতের প্রাথমিক ১-৯ সংখ্...

মুসলিম ব্যক্তিত্ব | 2018-02-13 13:42:39

ইবনে সিনা (৯৮০-১০৩৭ খ্রিস্টাব্দ) যিনি কঠোর জ্ঞান সাধনা ও অধ্যবসায়ের মধ...

মুসলিম ব্যক্তিত্ব | 2017-10-28 14:09:44

অনেকদিন আগে, দামিশকের একজন পিতা তার পরিবার নিয়ে বেড়াতে যেতে বের হয়েছিল...

মুসলিম ব্যক্তিত্ব | 2018-02-01 20:15:53