রম্য জীবনসঙ্গী নির্বাচনে তার ব্যক্তিত্ব যাচাই করে নিন
যাইনাব বিনতে ইউনুস; অনুবাদ: তাহারাতুন তাইয়্যেবা
Published: 2021-09-04 20:19:56 BdST | Updated: 2024-05-03 15:53:19 BdST
১. ধৈর্যশীল
যিনি সব পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণে সক্ষম, কখনোই চিৎকার চেঁচামেচি কিংবা হাহাকার, অভিযোগ করেন না। যখন তার উপর কোনো দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা আপতিত হয়, আল্লাহর কাছেই তিনি সাহায্য চান।
২. রক্ষক
যখন তার স্ত্রী ঘরের বাইরে থাকেন তখন তিনি তার সম্পদ এবং নিজ চরিত্রের পরিশুদ্ধতা বজায় রাখেন। স্ত্রী ফিরে আসা মাত্রই তিনি দিনের সব সমস্যার ঝাঁপি খুলে বসেন না, বরং তার প্রয়োজন মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তার ক্লান্তি দূরীকরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।
৩. প্রেমিক
যে ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ভীষণ ভালোবাসে এবং সন্তানদের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে, তার প্রতি এক নজর তাকালেই স্ত্রীর হৃদয়ের গহীন তলদেশ থেকে অজান্তে দু'আ উৎসারিত হয়।
৪. সৎকর্মশীল
সবার প্রতি দয়ালু, যত্নবান এবং বিনয়ী হিসেবে যার সমাজে একটি চমৎকার খ্যাতি আছে৷ প্রতিবেশী এবং আত্মীয়স্বজনের সাথে যার ব্যবহার খুবই চমৎকার এবং যিনি কখনোই কারও পিছনে কথা বলেন না কিংবা হিংসাত্মক মনোভাব পোষণ করেন না৷
৫. সন্তোষভাজন
যিনি বস্তুগত জিনিসের প্রতি আগ্রহী নন এবং তার স্ত্রী তাকে যত ছোট্ট উপহারই দিক না কেন, তিনি তাতে সন্তুষ্ট থাকেন। তাকে খাওয়ানো প্রতিটি টুকরা, মাথার উপরের ছাদ সহ প্রতিটি কাপড় (এবং ইস্ত্রি করে দেয়া) উপহার দেওয়ার জন্য তিনি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। যিনি বাচ্চাদের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগী এবং বাচ্চার যত্নের ব্যাপারে তাদের মা যা করেন তা নিয়ে প্রশংসা করতে তিনি কার্পণ্য করেন না। তার কৃতজ্ঞতাকে কথা এবং কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করেন। এভাবেই তিনি তার স্ত্রীর হৃদয় প্রশান্তিতে পূর্ণ করে দেন।
৬. ধার্মিক
যিনি দিনের অনেকটা সময় যিকির, কুরআন তিলাওয়াত এবং সালাতে ব্যয় করেন। যার রাত্রি কাটে তাহাজ্জুদের সালাতে দাঁড়িয়ে, কাঁদো কাঁদো কন্ঠে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে। যিনি তার স্ত্রীকে অবসর সময়ে দাওয়াহ'র কাছে উৎসাহিত করেন।
৭. মিষ্টি হাসি দাতা
যিনি প্রায়শই হাস্যেজ্জ্বল বিশেষত যখন তার স্ত্রী বাড়িতে থাকেন। তিনি সবসময় এত নম্রভাবে কথা বলেন যে মনে হয় তার মুখ থেকে মুক্তো ঝরছে। স্ত্রীর সাথে কথা বলার সময় তিনি কখনই আওয়াজ উপরে তুলেন না। যদি তার স্ত্রী কোন কারণে তার উপর রাগান্বিত হয় কিংবা চিৎকার চেঁচামেচি করে, তিনি সেটার উত্তর দেন না তবে সম্মানজনক নীরবতা বজায় রাখেন। যখন স্ত্রী শান্ত হন, তখন তিনি তাকে ঠান্ডা পানি দেন এবং দোষ না থাকা সত্ত্বেও তার কাছে ক্ষমা চান।
.......................................................................................................................
আপনি যেখানেই যান না কেন (অনলাইন কিংবা অফলাইন), আদর্শ স্ত্রীর এরকম বর্ণনা অবশ্যই খুঁজে পাবেন, কিন্তু আদর্শ স্বামীর ব্যাপারে এরকম কিছুই পাবেন না। এ অবস্থা দেখে হয় এ যেন দুইজন মানুষের বিয়ে না একজন মানুষের বিয়ে! অধিকাংশই হয়তো এটাকে অবাস্তব ভাববেন। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে, সেই একই মানুষের আদর্শ মুসলিম স্ত্রী সম্বন্ধে অনুরূপ লেখা ফরওয়ার্ড করতে কোন সমস্যা হয়নি! মানবীর জন্য যা উত্তম, মানবের জন্যও তা উত্তম নয় কি!!
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: