বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রচলিত ঈদুল আযহার ৮ ঐতিহ্যবাহী খাবার
হলিডে মি অবলম্বনে আবরার শেখ
Published: 2022-07-14 23:58:36 BdST | Updated: 2024-05-03 15:33:32 BdST
যেকোন উৎসবেরই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান খাবার। মূলত খাবারের মাধ্যমেই যেকোন উৎসব পালনের আনন্দ মূর্ত হয়ে উঠে।
ঈদুল আযহা সারাবিশ্বের মুসলমানদের মাঝে পালিত বৃহৎ দুটি উৎসবের মধ্যে অন্যতম। অপর উৎসব ঈদুল ফিতর থেকে এটির পার্থক্য হল, এই উৎসবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য অতিরিক্ত ইবাদত হিসেবে পশু কুরবানী করা হয়। এদিক থেকে ঈদুল আযহার উৎসবে গোশতের তৈরি খাবারই বেশি লক্ষ্য করা যায়।
এখানে ঈদুল আযহায় প্রচলিত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী আটটি খাবার উল্লেখ করা হল।
১. তাজিন (মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া)
রান্নার জন্য নির্ধারিত পাত্রের নামে নামকরণকৃত এই খাবারটি উত্তর আফ্রিকায় জনপ্রিয় একটি খাবার। বিভিন্ন প্রকার সবজির সাথে মুরগী, গরু-খাসীর গোশত অথবা মাছ দিয়ে হালকা আগুনে সেদ্ধ করে ধীরে ধীরে এই খাবারটি প্রস্তুত করা হয়। মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া ও লিবিয়ায় বিভিন্ন উৎসবের মতই ঈদুল আযহায়ও এটি পরিবেশন করা হয়।
২. ওরুক (তুরস্ক)
তুরস্কের আন্তাকিয়ায় প্রচলিত বিভিন্ন উৎসবে পরিবেশিত হওয়া একটি খাবার ওরুক। সুজি ও আটার খামীরের মধ্যে গরুর গোশতের কিমা, চূর্ণ করা কাঠবাদাম, পেয়াজ কুচি ও অন্যান্য মসলা দিয়ে পূর্ণ করে এই খাবারটি তৈরি করা হয়।
৩. ল্যাম্ব রোস্ট
সাধারনত বিশ্বের প্রায় দেশেই ছাগল-ভেড়ার মাধ্যমে কুরবানী দেওয়া হয়। মধ্যপ্রাচ্য, মধ্যএশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকার প্রায় দেশেই ছাগল-ভেড়ার মাধ্যমে কুরবানী দেওয়ায় ল্যাম্ব রোস্ট তথা খাসীর রোস্ট এসকল দেশে বহুল প্রচলিত ঈদুল আযহার পরিবেশনা। স্থানভেদে বিভিন্নভাবে এই উপাদেয় খাবারটি প্রস্তুত করা হয়।
৪. বিরিয়ানী (ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ)
ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ তথা দক্ষিন এশিয়া অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী এক খাবার বিরিয়ানী। চাল ও গোশতের সমন্বয়ে তৈরি করা এই খাবার এই অঞ্চলের যেকোন উৎসব আয়োজনেই পরিবেশিত হয়। মুরগী, গরু, খাসী ইত্যাদি যেকোন গোশত দিয়েই বিরিয়ানী প্রস্তুত করা যায়।
৫. নিহারী (ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ)
ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে প্রচলিত অপর একটি সুস্বাদু খাবার নিহারী। মুঘল রসুইখানায় উদ্ভাবিত এই খাবারটি গরু বা খাসীর হাড়কে জ্বাল দিয়ে তৈরি করা হয়। জ্বাল দেওয়ার ফলে এতে ঘন ঝোল তৈরি হয়। ঈদুল আযহার আয়োজনে খাবারটি বিশেষভাবে পরিবেশিত হয়।
৬. মা’মুল (সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, জর্দান)
শুধু ঝাল ও লবনাক্ত খাবারই নয়, ঈদুল আযহায় বিভিন্ন মিষ্টান্নও পরিবেশন করা হয়। সিরিয়া, জর্দান, ফিলিস্তিন ও লেবাননে প্রচলিত মা’মুল এমনই একটি মিষ্টান্ন। সুজি দিয়ে প্রস্তুত করা মিষ্টান্নের ভেতরে খেজুর, বাদাম, ডুমুর ইত্যাদি দ্বারা পূর্ণ করা হয়। বল, গম্বুজ অথবা চেপ্টা করে এই মিষ্টান্ন তৈরি করা হয়।
৭. শির খুরমা/সেমাই (ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ)
দক্ষিন এশিয়ার ঈদ উৎসবের আবশ্যক এক উপাদান শির খুরমা, যা সেমাই নামেও পরিচিত। নুডলুসের চেয়েও চিকনতর আটর ফালি দুধ, চিনি, বিভিন্ন শুকনো ফল ও বাদামের সাহায্যে সুস্বাদু এই খাবারটি তৈরি করা হয়। সেমাই ছাড়া এই অঞ্চলের ঈদকে কল্পনাই করা যায়না।
সকল প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: